নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুইদিনের টানা বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার নিম্নাঞ্চল। ১১৮০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে মৎসচাষিরা।
গড়াডোবা ইউনিয়নের জাহানারা এগ্রো ফার্মের ১৪টি পুকুর ডুবে ২কোটি টাকার বেশি মাছের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।
গড়াডোবা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান সোহাগ বলেন, ভারি বর্ষনে জাহানারা এগ্রো ফার্মের ১৪টি পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ২কোটি টাকার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মালিক প্রবাসী মোজাম্মেল হক।
মৎসচাষি ঝুমন জানান, তার ৪টি পুকুর ডুবে ৩৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। মৎস চাষি জসিম উদ্দিন জানান পুকুর ডুবে তার ২৫-৩০ লাখ টাকার বেশি মাছ চলে গেছে।
মৎসচাষি আব্দুর রউফ জানান, সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখেন তার পুকুর পাড়ে প্রায় হাঁটু পানি। তিনি শিং,পাবদা ও অন্যান্য মাছ মিলিয়ে লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন।
শ্রেষ্ঠ মৎসচাষি মো. আবু হারেছ জানান, ৪টি পুকুরের পাড় ভেঙে ও ডুবে শিং, পাবদা, গুলসা সহ সব মাছ বেরিয়ে গেছে। অর্ধ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
শুধু ঝুমন, হারেছ, জসিম নয়, এমন হাজারো মৎসচাষি পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে বিষাদের আবহ বইছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে হাজার হাজার কৃষক পরিবারে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল এলাকার সার্বিক খোঁজখবর রাখছেন বলে জানা গেছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী জালাল বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার আজহারুল ইসলাম জানান, কেন্দুয়া উপজেলায় ১১৮০টি পুকুর ডুবে যাওয়ার খবর পেয়েছি। ক্ষতির পরিমান প্রায় ৪০০কোটি টাকার বেশি হয়েছে। এখন পানি কমতে শুরু করেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী জালাল জানান, টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে অনেক পুকুর, আমন ফসলের জমি, সবজি খেত ডুবে গেছে। কয়েকটি স্থানে রাস্তা ধসে গেছে। আর বৃষ্টি না হলে এবং দুয়েক দিনের মধ্যে পানি সরে গেলে ধানের খুব বেশি একটা ক্ষতি হবে না। তবে মৎসচাষিদের যে ক্ষতি হয়েছে তা পোষানো কঠিন। তিনি আরো বলেন ক্ষতিগ্রস্তদের প্রনোদনার প্রয়োজন হলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌনপীড়নের অভিযোগ
আসাদুল করিম মামুন/কেন্দুয়া