আকিব শিকদার |
আয়নার সামনে তাকে জড়িয়ে ধরে নিতম্বের মাংসে
চাটি মারলাম। ব্যাচেলর মেসের ছেলেগুলো
উত্তেজনায় পরস্পরের দিকে তাকালো।
ওর উরনাটা বুক থেকে তুলে আলনায় ছুড়ে মারতেই
ছেলেগুলো নতুন কেনা দূরবীন নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করলো।
দূরত্বের দরুন ওদের ছ’তলার ছাদ থেকে
আমাদের তিনতলার রুমটা আবছা লাগে।
ঘরে লাইট জ্বলছে আর আমি সঙ্গমের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
দরজা-জানালা বন্ধ। কাচের জানালা; খোলা আর বন্ধ
যদিও একই কথা।
উত্তেজনায় ছেলেগুলোর
জিভে লালা, শরীর কাঁপছে। বিছানাতে বসে
বউ নিজেই নিজের ব্রা খুলছে। পাশের বাসায় দুটি মেয়ে
ফিসফিসিয়ে একে অন্যকে কি যেন বললো।
আমি বউয়ের চিৎ হয়ে শুয়ার উপর
হাটু গেড়ে বসেছি।
মেয়ে দুটি তাদের রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে
উকি মেরে দেখার প্রাণপণ চেষ্টা করছে। ওখান থেকে
আমাদের বিছানার অর্ধেক দেখা যায়।
এবার জানালার পর্দাটা টেনে দিলাম। পর্দার উপর
আমার ঘাড়ে তুলে রাখা বউয়ের পায়ের ছায়া।
ছেলেগুলোর একহাত দূরবীনে, অন্যহাতে
পুরুষাঙ্গ ধরা।
মেয়েদের চুলার উপর
কবুতরের মাংস পুড়ে গন্ধ, সেদিকে খেয়াল নেই।
আমরা আদম-হাওয়ার প্রথম প্রণয়ের মতো দুজন দুজনকে
জড়িয়ে ধরলাম, যেন দুটি অজগর লতিয়ে আছে।
রাধাকৃষ্ণের নদীতে নৌকা ডুবিয়ে ডুব সাতারের মতো
আলিঙ্গন করলাম, যেন জলের আড়ালে দুটি ডলফিন জলকেলি করছে।
হঠাৎ দেয়ালের সুইচ টিপে বাতি নিভিয়ে দিতেই
নামলো অন্ধকার।
তখন ছেলেগুলোর রক্ত-জোয়ারে ভাটা, আর মেয়েগুলোর
আরও পড়ুন: দুটানায় দিনযাপন
আকিব শিকদার