নেত্রকোনার কেন্দুুয়ায় জমিসংক্রান্ত বিরোধে মারামারিতে আহত এক ব্যক্তি মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের কেড়াদিঘী গ্রামে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত উপজলার রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নে কেড়াদিঘী গ্রামে আবুল হাসেম (৫৫) এবং সিদ্দিক (৭০) গংদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। গত রোববার ২৩ (জুলাই) তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ঐ গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী মিয়ার ছেলে আবুল হাসেম (৫৫) গুরুতর আহত হন। পরে আহত আবুল হাশেমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সিদ্দিক গংদের পক্ষে মারামারিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তারই ভাতিজা সুমন (৪৭)। সুমন পাশ্ববর্তী সান্দিকোনা ইউনিয়নের চেংজানা গ্রামে উছমানে ছেলে। সিদ্দিক এবং উছমান আপন সহোদর ভাই।
দুই ইউনিয়নের শেষ সীমানায় দুই গ্রামের অবস্থান হওয়ায় তারা একে অপরের প্রতিবেশি পাশাপাশি গ্রামীন সম্পর্কে চাচা- ভাতিজা। গত রোববার ২৩ (জুলাই) তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ঐ গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী মিয়ার ছেলে আবুল হাসেম (৫৫) গুরুতর আহত হন। পরে আহত আবুল হাশেমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সরেজমিনে শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকালে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো.জুয়েল মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, গত রোববার রাত ১১টায় আবুল হাসেম (৫৫) স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ী যাচ্ছিল, পথিমধ্যে রাস্তায় ওৎ পেতে থাকা সিদ্দিকের ছেলে এনামুল, এমদাদুল, এনায়েতুল এবং ভাতিজা সুমনসহ ১০/১২ জন দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তাঁকে উপর্যুপরি আঘাত করে। চিৎকারে তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী এসে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেন।
অপরদিকে রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নূরে আলম কাজল মৃত্যু ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত জেরে আবুল হাসেম এবং সিদ্দিক/ সুজন গংদের বিরোধ চলছিল। গত রোববার মারামারিতে আহত হয় আবুল হাসেম। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে উন্নত চিকিৎসা জন্য নেয়া হয় এবং পাচঁ দিন চিকিৎসারত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজেই মারা যান।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল হাসেমের মৃত্যু হয়।
রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ঢাকা থাকায় সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বার নূরে আলম কাজল খুনের ঘটনা নিশ্চিত করেন।
কেন্দুয়া থানা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী হোসেন পিপিএম আবুল হাসেমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এমারামারি ঘটনায় গত বুধবার (২৬ জুলাই) সিদ্দিকের ভাতিজা সুজনকে প্রধান আসামী করে ১২ জনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানা মামলা দায়ের করেছেন নিহত আবুল হাশেমের ছেলে সোহাগ। নিহতের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে আছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা পরবর্তীতে গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কেন্দুয়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রীর খুন: স্বামীসহ দেবর আটক
আসাদুল করিম মামুন/কেন্দুয়া