আকিব শিকদার |
পকেট পয়সাহীন। প্রেমিকার জন্মদিনে
দামী উপহার না দিতে পারলে ব্রেকাপ। চিন্তিত মুখে ছেলেটা
পার্কের দিকে পা বাড়ালো। অবৈধ সঙ্গমরত
কোনো যোগল পেলে গোপনে ছবি তুলে রেইড দেবে।
কানের নাকের গলার অলংকার খুলে নিয়ে বলবে-
“চুপ থাক... ঝামেলা পাকালে ছবি ফাস করে দেবো।”
ঝুপের আড়ালে অর্ধউলঙ্গ জুটির
পেচ মেরে শুয়ে থাকা ভিডিও করে ছেলেটা কাছে গিয়ে দেখে
আরে! আরে! এযে তার কলেজপড়–য়া বোন, কোচিং এর নাম ধরে
প্রেমিকের সাথে যৌবন জ্বালা মেটাতে এসেছে।
থতোমতো খেয়ে বোন বললো-
“কাউকে বলিস না ভাই।”
আহা লজ্জা...! কী দেখলো! মন থেকে বিষয়টা মুছতে না পেরে
ছেলেটা গেলো ফ্রেন্সিডিলের সন্ধানে। নেশা করে মটকা মেরে পরে থাকবে।
দু’বুতল মাল কিনে দাম দেবে যখন, দেখে, হায় এ কী!
মাদক বিক্রেতা লোকটা তার বাবা। সে জানতো তার বাবা
একজন ঔষধ কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টটেটিভ।
বাবা বললেন- “কী করবো বল? উপরি ইনকাম,
তোদের জন্যই তো করি...।”
ছি ছি! এমন বাবার ছেলে হয়ে মিছেমিছি
নিজেকে ভালো মানুষ সাজিয়ে রেখে কী লাভ!
মনের দুঃখে ছেলেটা গেলো বেশ্যা পাড়ায়। মাগীর বুকে
বুক মিশিয়ে শুয়ে থেকে যদি দুঃখ কমে।
বেশ্যার দালাল তাকে একটা রুমে ঢুকিয়ে
দরজা এটে দিলো। আবছা আলোয়
দেখে ঘরের কোনায় বসে থাকা মহিলাটা তার মা।
মাকে সে জানতো কর্পোরেট অফিসের চা নাস্তা রাধুনী। মা বললেন-
“ভুল বুঝিস না বাপ, আয়ার কাজে কতো আর আয় হয়...”
ছেলেটা ঘৃণায় মুখে দলা হওয়া থুতু
ঢোক গিলে উঠে দাড়ালো। এমন সময়
মুঠোফোন বেজে উঠতেই খিলখিল হেসে প্রেমিকা জানালো-
“জন্মদিনের দাওয়াত খেতে এসে বাবার বন্ধুর ছেলে
এংগেজমেন্ট রিং পরিয়ে গেছে, আগামী সপ্তাহে বিয়ে।”
আরও পড়ুন: ছড়ানো ছিটানো সংসার
আকিব শিকদার